চকরিয়া অফিস :
পেকুয়া উপজেলায় ‘আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া(এবিসি)’ আঞ্চলিক মহা-সড়কের পেকুয়া উপজেলা পরিষদের পাশেই সড়ক বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে প্রায় কোটি টাকা ব্যয় করে একটি দ্বিতল মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। প্রভাবশালী এক বিএনপির নেতার অর্থায়নে ওই মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত এক বছর পূর্বে প্রকাশ্যে সড়কের জায়গায় মার্কেট নির্মানের কাজ চললেও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা তা বন্ধে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সড়ক বিভাগের লোকজন উল্টো বাধা দেওয়ার পরিবর্তে ওই সাবেক প্রতাপশালী ক্ষমতাধর বিএনপি নেতার কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ওই প্রভাবশালী নেতার অবৈধ ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানের নাম দিয়ে গত ১ বছর আগে পেকুয়া উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে পেকুয়া কলেজের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়ক লাগোয়া সওজের কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখলা করে সেখানে ‘কলেজ মার্কেট’ নামে একটি দ্বিতল মার্কেট নির্মান কাজ শেষ করে। ইতিমধ্যেই মার্কেটের নির্মাণ কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। একটি ডেভেলপার কোম্পানির মাধ্যমে উক্ত কাজটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তবে ওই মার্কেট নির্মাণের অর্থায়ন নিয়েও স্থানীয়দের মধ্যে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। কলেজের সামনে মার্কেট নির্মাণ করে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টের আশংকায় প্রথমে স্থানীয়রা মার্কেট নির্মাণের বিরোধিতা করেন। পরে অবশ্য প্রভাবশালী ওই বিএনপি নেতার ভয়ে স্থানীয়রা মার্কেট নির্মাণ বন্ধে কোন ধরনের মুখ খোলার সাহস পায়নি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ওই মাকের্টের নীচ তলার প্রায় ৭/৮টি দোকান ইতিমধ্যেই ২লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত সেলামী নিয়ে কয়েকজন ভাড়াটিয়াকে ভাড়াও দেয়া হয়েছে। আর প্রতিটি দোকান থেকে মাসিক দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়াও উত্তোলন করছেন ওই বিএনপির নেতার ঘনিষ্ট এক বিতর্কিত লোক।
এ প্রসঙ্গে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের অধ্যক্ষ মো. উবায়দুল হক জানান, মার্কেটটি ‘কলেজ মার্কেট’ নাম দিয়ে নির্মাণ করা হলেও মূলত তা কলেজের নিয়ন্ত্রনে নেই। যিনি অর্থ দিয়ে এটি নির্মাণ করেছেন তার লোকজনই এই মার্কেটের নিয়ন্ত্রন করে থাকেন।
জানা যায়, গত কয়েক মাস পূর্বে পেকুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের দুপাশে সওজের জায়গায় অবৈধ উপায়ে গড়ে উঠা দোকানপাট সহ নানা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান করেছিল কক্সবাজার সড়ক বিভাগ(সওজ)। ওই সময়ে একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে পেকুয়ায় সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পেকুয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজী বাজার এলাকায় প্রায় অর্ধ-শতাধিক দোকান উচ্ছেদ করেছিল। স্থানীয়রা উচ্ছেদ অভিযান আরো জোরদার করে ‘কলেজ মার্কেট’! নামের ওই অবৈধ দ্বি-তল মার্কেটটি উচ্ছেদের জোর দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া উপ-বিভাগীয় সড়ক বিভাগের চকরিয়া সার্কেল অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম জানান, ‘কলেজ মার্কেট’ নামের ওই মার্কেট যদি সওজের জায়গায় নির্মাণ করা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে।
প্রকাশ:
২০১৬-০৬-০৮ ১০:৫৩:৪৬
আপডেট:২০১৬-০৬-০৮ ১০:৫৩:৪৬
- চকরিয়ায় প্যারাবন নিধনের মামলায় আসামি নিরীহ মানুষ
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- চকরিয়ায় সেনাবাহিনীর হাতে নারীসহ তিনজন গ্রেফতার
- মেরিন ড্রাইভ সড়কে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক নিহত
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
- চকরিয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার, বিক্রেতা গ্রেফতার
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ডেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যাহত
- বাড়ি ফিরেছে কুতুবদিয়ার অপহৃত ১৯ জেলে
- চকরিয়া আসছেন চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম
- চকরিয়ায় মেধাকচ্ছপিয়া জাতীয় উদ্যানের লেক থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফর সাঈদি সহ আওয়ামী লীগের ২৮৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় নতুন মামলা
পাঠকের মতামত: